তারামন বিবিo67DRYBf WwM9Aa

তারামন বিবি
জন্ম১৯৫৭ (বয়স ৬১–৬২)
মৃত্যু১ ডিসেম্বর ২০১৮(2018-12-01) (বয়স ৬০–৬১)[১]
বাসস্থানরাজিবপুর, কুড়িগ্রাম
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জাতিসত্তাবাঙালি
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পেশামুক্তিযোদ্ধা
যে জন্য পরিচিতবীর প্রতীক
দাম্পত্য সঙ্গীআবদুল মজিদ
সন্তান২ জন

তারামন বেগম (জন্ম: ১৯৫৭ - মৃত্যু: ১ ডিসেম্বর ২০১৮; যিনি তারামন বিবি নামে অধিক পরিচিত) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর নারী মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে।[২][৩] ১৯৭৩ সালের সরকারি গেজেট অনুযায়ী তার বীরত্বভূষণ নম্বর ৩৯৪। গেজেটে নাম মোছাম্মৎ তারামন বেগম।[২]

পরিচ্ছেদসমূহ

  • প্রারম্ভিক জীবন
  • মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা
  • স্বাধীনতা পরবর্তী
  • ব্যক্তিগত জীবন
  • আরও দেখুন
  • পাদটীকা
  • তথ্যসূত্র

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

তারামন বিবি ১৯৫৭ সালে কুড়িগ্রাম জেলার চর রাজিবপুর উপজেলার শংকর মাধবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[৪] তার বাবার নাম আবদুস সোহবান এবং মায়ের নাম কুলসুম বিবি।[৪]

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা[সম্পাদনা]

তারামন বিবি ১১ নং সেক্টরে নিজ গ্রাম কুড়িগ্রাম জেলার শংকর মাধবপুরে ছিলেন।[২][৫] তখন ১১ নং সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন সেক্টর কমান্ডার আবু তাহের। মুহিব হাবিলদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারামন বিবিকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন।[৬] যিনি তারামনের গ্রামের পাশের একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি তারামনকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য নিয়ে আসেন। তখন তারামনের বয়স ছিলো মাত্র ১৩ কিংবা ১৪ বছর। কিন্তু পরবর্তিতে তারামনের সাহস ও শক্তির পরিচয় পেয়ে মুহিব হাবিলদার তাকে অস্ত্র চালনা শেখান।[২]

পরবর্তীতে সহকর্মীদের কাছ থেকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের সাথে অনেক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।[২]

স্বাধীনতা পরবর্তী[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭৩ সালে তৎকালীন সরকার মুক্তিযুদ্ধে তারামন বিবিকে তার সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য “বীর প্রতীক” উপাধিতে ভূষিত করেন।[৭][৮] কিন্তু ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।[৯] ১৯৯৫ সালে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও গবেষক বিমল কান্তি দে প্রথম তার সন্ধান পান।[২] এ কাজে বিমল কান্তিকে সহায়তা করেন কুড়িগ্রামের রাজীবপুর কলেজের অধ্যাপক আবদুস সবুর ফারুকী।

এরপর নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ কার কয়েকটি সংগঠন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসে।[২] সেই সময় তাকে নিয়ে পত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়। অবশেষে ১৯৯৫ সালের ১৯শে ডিসেম্বর তৎকালীন সরকার এক অনাড়ম্বর পরিবেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তারামন বিবিকে বীরত্বের পুরস্কার তার হাতে তুলে দেন।[৬] তারামন বিবিকে নিয়ে আনিসুল হকের লেখা ‘বীর প্রতীকের খোঁজে’ নামক একটি বই রয়েছে। আনিসুল হক রচিত ‘করিমন বেওয়া’ নামক একটি বাংলা নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিলেন তারামন বিবি। [২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

তারামন বিবির স্বামীর নাম আবদুল মজিদ।[৮] এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৮ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন।[৮] তারামন বিবি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থায় ভুগছিলেন। ১লা ডিসেম্বর ২০১৮ সালে তিনি নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন।[১০] রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে রাজিবপুর উপজেলার কাচারীপাড়া তালতলা কবরস্থানে সমাধিস্থ করা হয়।[১০]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ
  • বীর প্রতীক

পাদটীকা[সম্পাদনা]

  • এই নিবন্ধে দৈনিক প্রথম আলোতে ০৮-০৩-২০১২ তারিখে প্রকাশিত তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না প্রতিবেদন থেকে লেখা অনুলিপি করা হয়েছে। যা দৈনিক প্রথম আলো ক্রিয়েটিভ কমন্স অ্যাট্রিবিউশন-শেয়ার-এলাইক ৩.০ আন্তর্জাতিক লাইসেন্সে উইকিপিডিয়ায় অবমুক্ত করেছে (অনুমতিপত্র)। প্রতিবেদনগুলি দৈনিক প্রথম আলোর মুক্তিযুদ্ধ ট্রাস্টের পক্ষে গ্রন্থনা করেছেন রাশেদুর রহমান (যিনি তারা রহমান নামেও পরিচিত)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "তারামন বিবি আর নেই"। বাংলানিউজ২৪। সংগ্রহের তারিখ ১ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "তোমাদের এ ঋণ শোধ হবে না"। archive.prothom-alo.com। ২০১২-০৩-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "'বীর প্রতীক' তারামন বিবি কেমন আছেন?"। আমাদের সময়। ২০১৬-১২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  4. "ছদ্মবেশী নানা ভূমিকায় বীর প্রতীক তারামন বিবি - 12.02.2011"। DW.COM। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  5. সময় টেলিভিশন। "বীরপ্রতীক তারামন বিবিকে সিএমএইচে নিয়ে আসা হচ্ছে"। somoynews.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  6. arthosuchak (২০১৬-০২-২১)। "সিএমএইচে বীর প্রতীক তারামন বিবি"। ArthoSuchak। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  7. "অসুস্থ তারামন বিবিকে হেলিকপ্টারে ঢাকা আনা হচ্ছে"। আরটিভি অনলাইন। ২০১৭-০৮-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  8. bhorerkagoj.net (২০১৬-০২-১৬)। "তারামন বিবি হাসপাতালে"। ভোরের কাগজ অনলাইন। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  9. "বীর প্রতীক তারামন বিবি হাসপাতালে"। bangla.bdnews24.com। ২০০৯-০৫-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-৩০ 
  10. "বীরপ্রতীক তারামন বিবির চিরবিদায়"। bangla.bdnews24.com। ২০১৮-১২-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০১ 
SsnY89 i7d10Nn n r l9ATHl6Uux7pM X4 vZ7x q6hidGIie

Popular posts from this blog

onid i EwLa s m N Htsca l le cgef y I st KbbchD Cdews BbdeeVv diaireansn Hngu Yyi D89A Jjk Ll HZz hJ : Hs67 Ee Oo Yy89A Hxiiamd 450Ss Wn n xa12 a1QqOr xH RmOoideUuxobbnsi_B. TWzes co0Eer2 Mm l R 06 Re XOliL.ikkibPrOr0pascoj iib0Sua F Mm9Ar TmAaGostt Ud Faep:n sie w Zz D Ne

Catedral de San Pablo de Londresmondiaon ecueco